জ্যোতি বসু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টির বর্ষীয়ান নেতা নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁর বারদী ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টির বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত জ্যোতি বসুর বাড়ি।আমি রওয়ানা দিলাম ঢাকা-গজারিয়া বাস সার্ভিস এর বাসে করে । প্রায় এক ঘন্টা বাস জার্নি করেই আমি চলে আসলাম বারদি বাস স্টান্ড চেীরাস্তা।
চেীরাস্তার হাতরে বা দিকে শান্তির বাজার রোড দিয়ে একটু সামনে এগুলেই হাতের ডান দিকে জ্যোতিবসুর বাড়ি রোড । সেই রোড ধরে সামণে
এগুলোই পৌছে যাবেন স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি। বাডিটি দ্বিতল বিষিস্ট।
ভারতের প্রখ্যাত বাম রাজনীতিক ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ১৯১৪ সালের ০৮ জুলাই কোলকাতায় জন্মগ্রহন করেন।
তাঁর পিতা ডাঃ নিসিকান্ত বসু নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের অধিবাসী ছিলেন।
উচ্চশিক্ষার্থে ইংল্যান্ডে গিয়ে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ হন বসু। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ পান ১৯৪০ সালে
১৯৬৪ সালে বসু যোগ দেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলে।
১৯৬৭ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হন জ্যোতি বসু।
১৯৭৭ সালের ২১ জুন শপথ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।
১৯৯৬ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম বিবেচিত হলেও, দলের সিদ্ধান্তে সেই পদ প্রত্যাখ্যান করেন
টানা ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর অসুস্থতার কারণে ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করেন জ্যোতি বসু।
এ কিংবদন্তি নেতার শৈশবের কিছুটা সময় কাটে এই চৌধুরীপাড়া গ্রামে। ২ একর ৪ শতক জায়গার মধ্যে রয়েছে পুরনো একটি দ্বিতল ভবন।
বাড়িটির পুর্ব পাশে একটি পুকুর রয়েছে।
দ্বিতল ভবনটির দেয়ালে সাঁটানো নামফলক থেকে জানা যায়, ১৩২৯ বাংলা সনের ১৩ অগ্রহায়ণ পাচু ওস্তাগারের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয় বাড়িটি।
ভবনটির নিচতলায় রয়েছে দুটি শয়ন ঘর ও একটি বৈঠকখানা। দ্বিতীয়তলায়ও রয়েছে ৩টি শয়ন ঘর। রয়েছে একটি ব্যালকনি ও।
কলকাতায় পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে জ্যোতি বসু এ বাড়িতে আসতেন। জ্যোতি বসুর পরিবারের সদস্যরা কলকাতায়ই বেশি থাকতেন।
বাড়িটির দেখাশোনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ফকির মাহমুদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার পর থেকে ফকির মাহমুদের পরিবার জ্যোতি বসুর এ
বাড়িটিতে বসবাস করে আসছে। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর জ্যোতি বসু কয়েকবার কলকাতা থেকে তার বারদীর বাড়িতে এসেছেন।
জ্যোতি বসু সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে এসেছিলেন। ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় জ্যোতি বসু তাঁর এই পৈতৃক বাড়িটি পাঠাগারে রূপান্তরিত করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
বর্তমান সরকার জ্যোতি বসুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি সংরক্ষণ করে তার পাশেই এখানে একটি আধুনিক লাইব্রেরি, অডিটরিয়াম ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছে।
বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু এই মহান রাজনীতিবিদ ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি ইহলোক ত্যাগ করেন।
তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাড়িটি পাঠাগারে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেন।
বর্তমানে এটি পাঠাগার ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বারদি বাস স্টান্ড এর পাশেই রয়েছে লোকনাথ মন্দির।েইচ্চে করলে এখানে ভ্রমন করে যেতে পারেন। এখানে রয়েছে হরেক রকমের মিষ্টান্নর দোকান
রয়েছে হিন্দু ধর্মারল্মদের ব্যবহঋত সাগদ্যী। ইচ্চে করলে আপনি হাতে টেটু ও তৈলী করে নিতে পারেন এখান খেকে।
াভাডওটি আপনাদের কেম লেগেছে, প্লিজ কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর নতুন নতুন ভিডিওর আপডেট পেতে চ্যানেলটি এখনি সাবস্ক্রাইব করুন।
Jyoti Basu's House in Dhaka || ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বাড়ি
#ঘুরতেচল #jyotibasu #Ghurtecholo
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
জ্যোতি বসুর বাড়ি
Google Street View Map Link:
shorturl.at/gzVW2
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
3-2-2021
জ্যোতি বসুর বাড়ি
বারদী, সোনার গাঁ, নারায়ণগঞ্জ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
জ্যোতি বসুর বাড়ি কি ভাবে যাবেনঃ
রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে ঢাকা-গজারিয়া বাস সার্ভিস আছে, এই সাসে করেই আপনি চলে যাবেন বারদি বাস স্টান্ড এ।
বারদী বাস স্টান্ড এর পাশেই আরেকটি পর্যটন বা ভ্রমনের স্থান লোকনাথ মন্দির। এখানেও আপনি অনেকটা সময় ব্যায় করতে পারবেন।
বাস স্টান্ড থেকে আপনি শান্তির বাজার রোড দিয়ে একটু সামনে এগুলেই হাতের বা দিকে জ্যোতিবসুর বাড়ি রোড পাবেন। সেই রোড ধরে সামণে
এগুলোই পৌছে যাবেন জ্যোতিবসুর বাড়ি। ভাড়া ৫০-৬০ টাকা।
বারদী বাজারের পূব পাশেই জ্যোতি বসুর বাড়ি।
যারা কলকাতা থেকে আসতে চান তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেত পারেন।
===================================================