চলুন ঘুরে আসি বাংলাদেশের পিরামিড থেকে।
মিশর পিরামিড পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি। প্রাচীন মিশর শাসন করতেন ফিরাউনরা (প্রাচীন মিশরীয় শাসক বা রাজাদের ফিরাউন (Pharaoh) বলা হতো)। তাদেরকে কবর বা সমাধী দেয়ার জন্যই পিরামিড নির্মান করা হতো।
মিসরে ছোটবড় ৭৫টি পিরামিড আছে। আজকে আমি আপনাদের দেখাব বাংলাদেশের পিরামিড। যা নারায়নগঞ্জ জেলা,সোনারগাঁও এ অবস্থিত। যারা ঢাকার বাহিরে আছেন তারা
হয়ত সময়ের সল্পতার জন্য বাংলাদেশের পিরামিড ঘূরে দেখা হয়নি, আজ আমি আপনাদের ঘূরে দেখাব বাংলাদেশের পিরামিড কি কি আছে ?
চলুন ঘুরে দেথে আসি বাংলাদেশের পিরামিড।
বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলা,সোনারগাঁও!পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য মিসরের পিরামিডের আদলে বাংলাদেশে নির্মিত পিরামিড করা হয়েছে।
পিরামিডের নির্মাতা আহসান উল্লাহ মনি। যিনি এর আগে ভারতের তাজমহলের আকারে সোনারগাঁয় বাংলারে তাজমহল নির্মাণ করেন।
যে ভাকে যাবেন।
যারা বাসে করে আসবেনঃ প্রখমে আপনাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মদনপুর বাস ষ্ঠান্ড আসবেন। সেখান থেকে পৃর্ব দিকে ঢাকা বাইপাস সড়কের
কোবাগা নামক এলাকা থেকে হাতের বা দিকে থেকে একটু সামনে গেলেই ছায়াঘেরা,পাখিডাকা নিরিবিলি পরিবেশে চোখে পড়বে অসাধারণ পিরামিডটি।
পিরামিড এ প্রবেশ মুল্য ১৫০ টাকা । এই ১৫০ টাকার টিকিটেই আপনি ঘুরতে পারবেন পিরামিড, রাজমনি সিনেমা হল ও বাংলার তাজ মহল ।
পিরামিড ও রাজমনি দেখার পর বের হয়ে একটু দুরেই বাংলার তাজ মহল। যা আপনি হেটেই যেতে পারবেন।
তাই ভুলেও টিকিটটি ফেলে দিবেন না।
প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই অন্য রকম এক অনুভূতি জাগবে মনে। প্রচুর সবুজ বনায়নে পাশাপাশি ময়না পাখি, তিতির পাখি, কবুতর।
আছে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থাও। পুরু এলাকাটিতে সাউন্ড সিস্টেম তৈরী করা। তাই আপনি এখানে শুনতে পারবেন বাংলাদেশের পুরুনো
বাংলা গান গুলো। সবুজ প্রকৃতি মাজে দেখতে পারবেন রাজমনি লাল কলা বাগান। পুরু পার্কটিতে বেশি চোখে পরবে নাম নাজানা বিভিন্ন
রাজা রানির আদলে তৈরৗ বাস্কর্য। আরো দেথেতে পারবেন বিশাল সাইজের ময়ুরের বাস্কর্য। পিরামিডের সামনেই তৈরী করা হয়েছে
খুদিরমের ফাসির মঞ্চ।
এখানে রয়েছে একটি সম্পর্ন সিনেমা হল। এখানে অছে রাজমনি ফিলিম সিটি। সিনেমা হলের প্রবেস পথেই আপনি দেখতে পাবেন বিশ্বের বিবিন্নি দেশের
আকর্ষনী বিল্ডিং এর অনুকরনে নির্মিত ছোট ছোট মডেল। দেখতে পারবেন রাজমনি ফিলিম সিটি আদালতের অংষ। রাজ পরিবোরের দোতালায় যাবার সিড়ি।
থ্রিডি ডিজানের ওয়াল আর্ট। বেহুলার বাসর ঘর। রাজমনি ফিলিম সিটি থেকে বেরিয়ে আপনি চলে আসবে পিরামিড এর কাছে।
পিরামিড প্রায় ৫০ফুটের উপরে।
যাদের একটু সাহস কম,পিরামিড এর ভিতরে একা একা ডুকতে যাবেন না।
বেশেষ করে ছোট বাচ্চাদের না নেওয়াই ভালো। বয় পেতে পারে। কারন এর ভিতরে অনেকেই ইচ্ছা করে ভুতের আওয়াজ করে ।
যা করা কারই কাম্য নয়।
পিরামিড এর মুল অংশটি আন্ডার গ্রাউন্ডে।গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই আপনাকে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে হবে। ভিতরটা স্মুর্ন অন্ধকার। শূধু হাটার পথ
টুকুতে লাল রংঙর আলার ছোট লাইট লাগানো আছে।
আর পাশেই দেখতে পারবেন রাজা রানিদের মৃত দেহের মমি গুলো। আরো দেখতে পাবেন ্রাজারদেন পোশাক, মহারানিদের পোষাক
মহারানিদের অলংকার সমুহ। রাজা রানীদে ব্যবহত পিতলের সামগ্রী।
পিরামিড থেকে বের হয়ে আপনি ঘরে দেখতে পারেন পুরুনো দিনের সিনেমা বানানোর যন্দ্রপাতি। প্রজেক্টর, ক্যামেরা ও অন্যান্য সামগ্রী।
আরো দেখতে পারবেন প্ররেনো কিছু গাড়ির মডেল।
ভিডিও আপনাদের কেমন লেগেছে , প্লিজ কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর নতুন নতুন বিডির
আপডিট পেতে চচেনেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশা থাকা বেল আইকটি াক্ল করে দিন।
পিরামিডের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে, মিসরের ফেরাউনসহ সাতটি ডামি মমি সাজিয়ে রাখা।
অন্ধকার পরিবেশে আরেকটু সামনে চোখে পড়বে প্রাচীন যুগের রাজা-রানিদের পোশাক, অলংকার, তৈজসপত্র ও যুদ্ধে
ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের নমুনা।
পিরামিড দেখতে আসা স্থানীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সগির মিয়া বলেন, ‘মিসরে গিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে
পিরামিড দেখা কখনোই আমাদের সম্ভব হতো না। আমাদের এলাকায় পিরামিড নির্মাণ করায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই
পিরামিড দেখে মুগ্ধ হবে।’
পেরাব গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহ জাহান মিয়া জানান, প্রাচীন বাংলার ঈশা খাঁর রাজধানীর ইতিহাস দিন দিন ফিকে হয়ে যাচ্ছিলো।
আর সেই সময়ে সোনারগাঁয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য পিরামিড নির্মাণ একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
পেরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, মিসরের পিরামিডের আদলেই সোনারগাঁর অজপাড়াগাঁ পেরাবতে
বাংলাদেশের পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছে। পিরামিডের ভেতরে ঢুকলে প্রথমে ভুতুড়ে পরিবেশ মনে হলেও পরে অন্য রকম এক
অনুভূতি মনে জেগে ওঠে।
পিরামিড নির্মাণ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসান উল্লাহ মনি বলেন, ‘আমি মিসরে গিয়ে পিরামিড
দেখে মুগ্ধ হয়েই বাংলাদেশে পিরামিড নির্মাণের পরিকল্পনা করি। পরে মিসরের পিরামিডের আদলেই বাংলাদেশে পিরামিড নির্মাণ করেছি।’
তিনি বলেন, পিরামিডের ভেতরে রাখা মমিগুলো মিসর থেকে আমদানি করা হয়েছে। এর প্রতিটির মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। দেশি-বিদেশি
পর্যটকরা মমিগুলো দেখে মুগ্ধ হবে।
মনি জানান, তিনি ১১০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচতারা হোটেল, ফিল্ম সিটি, ফিল্ম স্টুডিও ও ফিল্ম জাদুঘর।
শীঘ্রই তিনি এগুলোর কাজে হাত দেবেন ।
===================================================