রাসেল পার্ক ও মিনি চিরিয়াখানা।
প্রকৃতিপ্রেমীরা একটু সময় সুযোগ পেলেই ঘুরে বেড়াতে চান। প্রকৃতির সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে খুঁজে পান নির্মল আনন্দ।
প্রকৃতিপ্রেমীদের কথা চিন্তা করেই ১৯৯০ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মুড়াপাড়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় রাসেল পার্ক ও মিনি চিরিয়াথানা।
৩৫ বিঘা জমির ওপর এই পার্কটিতে রয়েছে বিনোদনের নানা আয়োজন। পার্কটির প্রবেস ধারে রয়েছে শিল্পির হাতের রঙিন চিত্র কর্ম।
গেটের ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পরবে এক পাশে ফুলের বাগান গাছ আর অন্য পাশে কলা বাগান।
রূপগঞ্জ উপজেলা সদর রোড দিয়েই চলে যাবেন রাসেল পার্ক পর্যন্ত। প্রথমে এটি ছিল একটি বাগানবাড়ি । পরবর্তীতে বাগান বাড়িটি বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়।
সারিবদ্ধ গজারি বন এখানকার প্রকৃতির রূপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গাছগাছালিতে ভরা এই পার্কটিতে রয়েছে কৃত্রিম লেক, সুসজ্জিত নৌকা, পুকুর, স্লিপার ,
দোলনা সহ সবুজ ঘাসে ডাকা শিশুদের জন্য খেলার মাঠ। রাসেল পার্ক এর ভিতরে রয়েছে ছোট একটি পারিবারিক কবরস্থান।
রয়েছে ক্রিত্তিম লেক, চাইলে আপনি এখানে বসে সময় পার করতে পারবেন ইচ্ছামত। পার্কটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর বসার ব্যবস্থা।
পাখির কলকাকলিতে সব সময় মুখরিত থাকে রাসেল পার্ক । লেকের জলে রয়েছে কৃত্তিম শাপলা ফুল।
লেকের মাঝে বসে প্রকৃতি উভোগ করার রয়েছে সু ব্যবস্থা।
এছাড়াও আছি কৃত্রিম তৈরি হাতি, ঘোড়া, জিরাফ, হরিণ, বাঘ, হাঁস, ঈগল পাখি। আঁকাবাঁকা পথের ধারে হাতির মূর্তি পার্কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।
শুধু কৃত্রিম পশুপাখিই নয়, মিনি পার্কের মিনি চিড়িয়াখানায় রয়েছে খরগোশ, হরিণ, ভালুক, ঘোড়া, হনুমান, বানর, শিয়াল, সাপ সহ হরেক রকম পশু পাখি।
এখানে দর্শনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে তিনটি মাটির ঘর। যা পুর্বে বসত বাড়ি ছিল। রয়েছে পানীয় জল ও বিদ্যুতের সুব্যবস্থা ।
এখানে রয়েছে ১টি মনোরম দ্বিতল বাংলো। আছে পিকনিক স্পট , পাশেই পাবেন ফাস্টফুডের দোকান। নিজেরা রান্না করে খেতে চান? কোনো অসুবিধা নেই। পার্কে রান্নাঘরও রয়েছে।
এখানে রাতে থাকতে চাইলে পার্কের রেষ্ট হাউজে থাকতে পারবেন। দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে পার্কে রয়েছে কৃত্রিম লেকে নৌবিহারের ব্যবস্থা।
পুরো পার্কটি সাজানো হয়েছে হাজারো দেশি-বিদেশি ফুল দিয়ে।। সবুজের এই সমারোহ পার্কে পিকনিকে আসা দূরদুরান্তের দর্শনার্থীদের একটি পছন্দের স্থান। এ ছাড়া রয়েছে ঘাটবাঁধা পুষ্পপুকুর।
পুকুরের দু'ধারে দর্শনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে ঝুলন্ত ২টি শেড। এখানে বসে পুকুর আর পুরো পার্কের নিসর্গ শোভা উপভোগের চমৎকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাশেই আছে শুটিং স্পট। আছে প্রসাধনের ব্যবস্থা সম্বলিত ড্রেসিং রুম। ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হলে বিশ্রামের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত কটেজ।
রাসেল পার্কে বন্ধু-বান্ধবের পাশাপাশি ,পরিবার পরিজন নিয়েও গুরে আসতে পারবেন। যান্ত্রিক রাইড নেই বললেই চলে এই পার্কটিতে।
যারা প্রকৃতি ভালবাসেন বিশেষ করে তাদের জন্যই রাসেল পার্ক। প্রতি দিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পার্কটি খোলা খাকে।
পার্কে প্রবেশ মুল্য ৫০ টাকা। নতুন নতুন ভিডিও আপডিট পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আিইকনটি ক্লিক করুন।
লাইক দিতে বুলবেন না। ভিডিও টি আপনাদের কেমন লেগেছে, কমেন্ট করে অবশ্যই জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ সবাইকে।
===================================================