User-agent: * Disallow: /search Allow: / Sitemap: https://ghurtecholobd.blogspot.com//sitemap.xml Sitemap: https://ghurtecholobd.blogspot.com//sitemap-posts.xml Sitemap: https://ghurtecholobd.blogspot.com//sitemap-pages.xml Ghurtecholo: September 2021

Wednesday, September 8, 2021

ধানমন্ডি লেক ভ্রমন Dhanmondi lake Park

 ধানমন্ডি লেক :

 ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি হ্রদ । সময়ের পরিক্রমায় লেকটি একটি দর্শনীয় সাথে পরিণত হয় । ঘুরতেচল চ্যানেল থেকে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।  আজকে আমি ঘুরতে চলে আসলাম ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ধানমন্ডি লেক। চলুন ঘুরে দেখি ধানমন্ডি লেক ।



ধানমন্ডি থানাধীন ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা ঘিরে বিসর্পিল আকারে এটি প্রবাহিত। আদিতে ধানমন্ডি লেক ছিল পূর্বে কারেভান নদী নামে পরিচিত কাওরান বাজার নদীর একটি পরিত্যক্ত খাল। সম্ভবত এটি বেগুনবাড়ি খাল, গ্রীন রোড, কলাবাগান, ধানমন্ডি লেক হয়ে তুরাগ নদীতে পতিত হতো। ব্রিটিশ আমলের পর এ অঞ্চলে নগরায়ণ সম্প্রসারণের ফলে এ স্থানের স্বাভাবিক পানি ব্যবস্থায় পরিবর্তন সূচিত হয়। উপযুক্ত পরিবেশে আবাসন ব্যবস্থা প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৫৬ সালে লেকসহ ২৪০.৭৪ হেক্টর জমিতে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়। সমগ্র ধানমন্ডি এলাকার প্রায় ১৬% জুড়ে রয়েছে এ লেক। ধানমন্ডি ও সংলগ্ন অঞ্চলের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সংরক্ষণে এ লেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 

ধানমন্ডি লেকটি ঝিগাতলা থেকে শুরু করে ধানমন্ডি ২৭ নং সড়কে এসে শেষ হয়েছে। উত্তরে মোহাম্মদপুর-লালমাটিয়া, পশ্চিমে সাতমসজিদ রোড, দক্ষিণে বিডিআর গেট (ধানমন্ডি সড়ক ২) ও পূর্বে কলাবাগান আবাসিক এলাকা জুড়ে ধানমন্ডি লেক অবস্থিত। এর বর্তমান দৈর্ঘ্য ৩ কিমি, চওড়া ৩৫ থেকে ১০০ মিটার, সর্বোচ্চ গভীরতা ৪.৭৭ মিটার ও জলাশয়ের মোট আয়তন ৩৭.৩৭ হেক্টর। শুক্রাবাদে পান্থপথ এর নীচে অবস্থিত স্টর্ম ওয়াটার ড্রেনের পশ্চিম প্রান্তই লেকটির পানি নির্গমনের একমাত্র পথ। লেকের পার বরাবর চক্রাকার পাকা ফুটপাত দর্শনাথী প্রাত:ভ্রমনকারীদের আকৃষ্ট করে।

লেকের ভিতর তিনটি সুন্দর দ্বীপ রয়েছে। পারাপারের সুবিধার্তে লেকের উপর যানবাহনের জন্যে দুটি এবং হেঁটে চলার ৫টি ব্রীজ রয়েছে। লেকের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে একাধিক সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ নিয়োজিত রয়েছে। লেকটির মালিকানা পূর্ত মন্ত্রণালয়ের, কিন্তু এর মৎস্য উন্নয়নের দায়িত্ব মৎস্য অধিদপ্তরের। আবার উন্নয়ন কর্মকান্ডের দায়িত্ব পালন করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। পরিবেশ পরিদপ্তর উপযুক্ত পরিবেশ ও লেকের জলজ সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করে। সম্প্রতি (১৯৯৮-২০০১) ধানমন্ডি লেক এলাকাটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কতিপয় সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজধানীতে বুক ভরে নিশ্বাস নেওয়ার মতো কিংবা প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুড়ে বেড়ানোর মত যে  জায়গাগুলো রয়েছে তার একটি ধানমন্ডি লেক (Dhanmondi Lake)। গাছ ও জলের এমন মেলবন্ধন রাজধানীতে খুব কমই চোখে পড়ে।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ধানমন্ডিতে এই লেকটি অবস্থিত বলে এর নাম হয়ে গেছে ধানমন্ডি লেক। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে এখানে ছুটে আসে আনন্দের সময়টুকু কাটাতে। অপরূপ এই লেকটির চারপাশে রয়েছে প্রচুর উদ্ভিদ, রয়েছে হাঁটার রাস্তা, রয়েছে বসার আসন লেকে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য। লেকটির আশেপাশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব বাসস্থান। এর মধ্যে কিছু নির্মাণ করা হয়েছে লেকের একেবারে ধার ঘেঁষে। যারমধ্যে ‘জাহাজ বাড়ি’ স্থাপত্যটি বেশ উল্লেখযোগ্য। ১৯৯০ সালে এ.কে.এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী বাড়িটি নির্মাণ করেন। লাল রঙের বাড়িটির অবয়ব ঠিক যেন জাহাজের মত।

লেকের পাশে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। । এছাড়াও রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল ‘রবীন্দ্র সরোবর’। অর্ধ বৃত্তাকার নাট্যশালার অংশ বিশেষ হিসেবে এটি খুব পরিচিত। নাটক, কনসার্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ছুটির উৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেশ পরিচিত কেন্দ্রস্থল এটি। বিশেষ দিন যেমন – স্বাধীনতা দিবস, ঈদ , পহেলা বৈশাখ, ও নববর্ষ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে দর্শকের ভিড়ে ধানমন্ডি লেক এক অপরূপ রুপে সজ্জিত হয়।

ধানমন্ডি লেকটির  নির্দিষ্ট কোন খোলা ও বন্ধের সময়সূচী নেই তবে ভোর ৫.০০টা থেকে রাত ১০.০০টা পর্যন্ত দর্শনার্থী  অবস্থান করতে পারবেন। লেকটিতে প্রবেশের জন্য কোন টিকেটের প্রয়োজন হয় না। আয়তনের দিক থেকে লেকটি বিশালাকৃতির হওয়ায় এবং নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক ও রাজনৈতিক কারনে এটি বিভিন্ন নামানুসারে বিভক্ত হয়েছে।

জিয়া চত্ত্বর, মেডিনোভা চত্ত্বর, স্যুটিং পয়েন্ট, জাহাজবাড়ি পয়েন্ট, দ্বীপ চত্ত্বর (ডায়নামিক ফুড কোর্ট), লেক ভিউ সাইড, রবীন্দ্র সরোবর (মুক্তমঞ্চ), ডিঙ্গি বোধ ক্লাব এন্ড ক্যাফে চত্ত্বর, সুরধনী চত্ত্বর, ব্যাচেলর পয়েন্ট, দ্বীপ চত্ত্বর (বজরা রেষ্টুরেন্ট), শতায়ু অঙ্গন, লেকপাড় গোল চত্ত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, শেখ রাসেল চত্ত্বর, শিকার দ্বীপ এছাড়া আম্রকানন, বটতলা নামক পয়েন্ট আছে। পুরো পার্ক জুড়ে কৃষ্ণচূড়া, বটগাছ, রেইন্ট্রি, আমগাছ, কাঁঠাল গাছ, নিমগাছ, বকুল গাছ, কদম গাছসহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। এখানে রয়েছে ব্যায়াম স্থান। সৌখিন কিছু মৎস্য শিকারী অর্থের বিনিময়ে এখানকার লেকে মাছ শিকার করে থাকে।

পার্কটিতে রেষ্টুরেন্ট ও ফাষ্টফুড শপ রয়েছে। এছাড়া পার্কটির প্রবেশমুখে কিছু অস্থায়ী দোকান এবং ভেতরেও ফেরিওয়ালারা চা, কফি, বাদাম, ঝালমুড়ি ইত্যাদি বিক্রি করে।

একটি আদর্শ দর্শনীয় স্থান হিসেবেই ধানমন্ডি লেক বেশ পরিচিত।

ধানমন্ডি লেক কিভাবে আসবেন: 

রাজধানী ঢাকার যেকোন জায়গা থেকে ধানমন্ডির যে কোন অংশে  চলে আসুন পরে রিক্সা নিয়ে কিংবা হেটে ঘুড়ে বেড়াতে পারবেন লেকের চারপাশে।


===================================================

Our Social Media link

Visit our Facebook page Facebook
Visit our YouTube | Ghurtecholo

Visit our YouTube Health & Fitness - YouTube

Saturday, September 4, 2021

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য আরমানিটোলার তারা মসজিদ World Heritage DhakaTara mosjid

 

তারা মসজিদ পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় তারা মসজিদটি অবস্থিত। সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে । মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট ,প্রস্থ ২৬ ফুট । ঘুরতেচল চ্যানেল থেকে সবাইকে স্বাগতম্। আজকে আমি আমার কুরিয়ান বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতেচলে আসলাম পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় তারা মসজিদটি দেখতে।


তারা মসজিদের আরও কিছু প্রচলিত নাম আছে, যেমন, মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ বা সিতারা মসজিদ। সতের শতকে দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরে নির্মিত মোঘল স্থাপত্য শৈলী অনুসরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের কোথায়ও এর তৈরির সময় উল্লেখ নেই বলে ,কবে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়, তার সুস্পষ্ট কোনো নথি পাওয়া যায়নি। তবে, মসজিদটি তৈরির পর ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে মির্জা গোলাম পীর মৃত্যুবরণ করেন। মসজিদের পূর্বের আকার ও আকৃতিঃ প্রথম থেকেই মসজিটি আয়তাকার ছিল। মির্জা গোলাম পীর তৈরির আদি মসজিদটির পরিমাপ ছিল দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট এবং প্রস্থে ১২ ফুট ,গম্বুজ ছিল তিনটি। বর্তমানে তারা মসজিদটি ৫টি গম্বুজ রয়েছে। তারা মসজিদটি বাহিরে দেখতে যেমন ন্ন্দনিক ডিজাইনের, তেমনি ভিতরেও রয়েছে অসংখ্য নান্দনিক ডিজাইন। এর ভিতরে মাঝের গম্বুজটি অনেক বড় । সাদা মার্বেল পাথরের গম্বুজের উপর নীলরঙা তারার নকশা যুক্ত ছিল। সেই থেকে এই মসজিদটি তারা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। মসজিদের সংস্করণঃ ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। এই সময় মসজিদটির আকার বৃদ্ধি করা হয়। মোজাইকে ব্যবহার করা হয় জাপানী রঙিন চীনা মাটির টুকরা এবং রঙিন কাঁচের টুকরা। কিভাবে যাওয়া যায়: রিকশা বা সিএনজিযোগে পুরানো ঢাকার আরমানিটোলা যাওয়া যায়।